Skip to main content

Featured

Traffic Jam (জান জট)

  Traffic jam means the blockade of vehicles on  road and streets.  traffic jam  is a problem of the urban areas. there are a number of reasons for traffic jam. Many unlicensed and unauthorised rickahaws  ply  on the roads and streets. Even many car  drivers, bus drivers and truck drivers and do not obey traffic rules. sometimes ,they are seem parking their vehicles at any place of a road in an indisciplined maneercwhich  causes traffic jam. Again, some roads lanes and by-lanes are very narrow. The roads and streets are often dug for development work. This is also a reason for traffic jam. Illegal parking, unauthorised shops and markets on the  roadside spaces also cause traffic jam. Traffic jams are regularly seen a the intersections of streets and railway level crossing. In our daily activities, we cannot become fast and punctual because waiting for an unlimited period of time. Madrasah going boys and girls cannot reach  their madrasah...

 


কোরবানী: ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড (কুরআন-হাদীসের আলোকে)

১. ভূমিকা

কোরবানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি ঈদুল আযহা উপলক্ষে আদায় করা হয়, যা হযরত ইব্রাহীম (আ.) ও হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর ত্যাগের স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এই ইবাদতের মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের প্রিয় সম্পদকে ত্যাগ করে।

🔹 কোরআনে বলা হয়েছে:

“আপনি আপনার প্রতিপালকের জন্য সালাত কায়েম করুন ও কোরবানি করুন।”
— (সূরা কাওসার: ২)


২. কার জন্য কোরবানী দেওয়া জায়েয?

কোরবানী মূলত মুকীম (স্থানীয়), সাবালেগ (বালেগ), আকিল-বালেগ (বুদ্ধিমান) এবং নিষ্কণ্টকভাবে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক এমন প্রতিটি মুসলিমের ওপর ওয়াজিব, পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই।

🔹 হাদীস:

“নবী (সা.) মিনা-তে ছিলেন, তখন তিনি বললেন, এই দিনগুলিতে আমাদের প্রথম কাজ হল নামাজ আদায় করা, তারপর কোরবানী করা। যারা তা করে, তারা আমাদের সুন্নাহ অনুযায়ী কোরবানী করল।”
— (বুখারী: ৫৫৪৫)


৩. কে কে কোরবানী দিতে পারবে?

যে ব্যক্তি —

  • মুসলিম

  • প্রাপ্তবয়স্ক (বালেগ)

  • নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক (যাকাতের মতো)

  • মুকীম (মুসাফির নয়)

তারা কোরবানী দিতে পারবে এবং তাদের ওপর এটি ওয়াজিব।

🟢 নেসাব পরিমাণ সম্পদ মানে হলো:
৫২.৫ তোলা রূপা বা ৭.৫ তোলা সোনা বা তার সমপরিমাণ নগদ অর্থ, মাল বা ব্যবসায়িক সম্পদ।


৪. কোরবানীর পশু কেমন হওয়া উচিত বা কেমন হলে ভালো হবে?

✅ কোরবানির পশু হতে হবে —

  • নির্দিষ্ট বয়সের (ছাগল/ভেড়া ১ বছর, গরু/মহিষ ২ বছর, উট ৫ বছর)

  • শারীরিকভাবে সুস্থ

  • চোখ, কান, পা, লেজ অক্ষত

  • কোনো গুরুতর ত্রুটি বা রোগ থাকা চলবে না

❌ যে পশু কোরবানির অযোগ্য:

  • এক চোখ অন্ধ

  • পা ভাঙা বা খোঁড়া

  • মারাত্মক রোগে আক্রান্ত

  • খুব দুর্বল বা হাড় ছাড়া

🔹 হাদীস:

“চার ধরনের পশু কোরবানি করা জায়েয নয়: (১) এক চোখ পুরোপুরি অন্ধ, (২) মারাত্মক অসুস্থ, (৩) খোঁড়া যে হেটে যেতে পারে না, (৪) খুব দুর্বল যার মাংস নেই।”
— (তিরমিজি: ১৪৯৭)


৫. নামাজের আগে না পরে পশু জবাই করতে হবে?

✅ ঈদুল আযহার নামাজের পরে কোরবানি করতে হবে।

🔹 হাদীস:

“যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করে, সে কেবল মাংস খাওয়ার জন্য জবাই করল; আর যে নামাজের পরে কোরবানি করে, তার কোরবানি পূর্ণ হলো।”
— (বুখারী: ৫৫৪৫)


৬. যদি কোরবানির পশুর দুধ পাওয়া যায়, খাওয়া যাবে কি না?

✅ কোরবানির পশুর দুধ খাওয়া জায়েয — যদি দুধ দোহানো হয় এবং পরে তার মূল্য সদকা করা হয়।

🔹 ফিকহী মতামত অনুযায়ী:
যদি কেউ কোরবানির পশুকে ঈদের আগে দুধ দোয়ায়, তবে সেই দুধ সে খেতে পারবে, কিন্তু তার সমপরিমাণ দান করে দেওয়া উত্তম।


৭. অতিরিক্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

একটি গরু কয়জনের কোরবানি দেওয়া যায়?

👉 গরু বা উট: সর্বোচ্চ ৭ জন। তবে সকলের নিয়ত আল্লাহর জন্য হতে হবে।

কোরবানির সময়কাল কতদিন?

👉 ঈদের দিন (১০ জিলহজ) থেকে শুরু করে ১১ ও ১২ জিলহজ — মোট তিন দিন

মেয়েরা কি কোরবানি করতে পারে?

👉 অবশ্যই, যদি তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়।


🔚 উপসংহার

কোরবানী কেবল মাংস খাওয়ার নাম নয়, বরং তা ত্যাগ ও ইখলাসের একটি পরীক্ষা। আল্লাহ বলেন:

“তাদের মাংস ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।”
— (সূরা হজ: ৩৭)

আসুন, আমরা সবাই নিয়ত ঠিক করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সঠিকভাবে কোরবানি করি।

টি হাদিস জানি।

🕋 কোরবানী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি হাদীস (সহীহ সূত্রসহ)

১. কোরবানী আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় আমল

“আদম সন্তানের কোন কাজ আল্লাহর নিকট কোরবানির দিনের কোরবানী থেকে বেশি প্রিয় নয়।”
(তিরমিজি: ১৪৯৩)


২. কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই কবুল হয়

“নিশ্চয়ই কোরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়। কাজেই খুশি মনে কোরবানী দাও।”
(তিরমিজি: ১৪৯৪)


৩. প্রত্যেক পশুর প্রতিটি অঙ্গের জন্য সওয়াব

“কোরবানীর প্রতিটি পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে তোমার জন্য এক একটি সওয়াব রয়েছে।”
(ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)


৪. ঈদের দিন সর্বোত্তম আমল কোরবানী

“সন্তান আদমের কোন আমল নেই, যা ঈদের দিন আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে অধিক প্রিয়। কিয়ামতের দিন তা শিং, চুল ও খুরসহ নিয়ে আসা হবে।”
(তিরমিজি: ১৪৯৩)


৫. নামাজের আগে কোরবানী গ্রহণযোগ্য নয়

“যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে কোরবানী করে, সে কেবল গোশতের জন্য কোরবানী করলো, তা ইবাদত হলো না।”
(বুখারী: ৫৫৪৫)


৬. খাঁটি নিয়তের গুরুত্ব

“যারা কোরবানী করে, তারা যেন কেবল আল্লাহর জন্যই করে; কারণ আল্লাহ তাকওয়া গ্রহণ করেন।”
(সূরা হজ: ৩৭ — আয়াত নয়, কনটেক্সট হাদীসের সঙ্গে মিলিয়ে বলা হয়েছে)


৭. শরিক হয়ে কোরবানী করা

“একটি গরুতে সাতজন এবং একটি উটে সাতজন শরিক হতে পারে।”
(সহীহ মুসলিম: ১৩১৮)


৮. নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য কোরবানী

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ থেকে কোরবানী করতেন।”
(মুসলিম: ১৯৬৭)


৯. কোরবানীর পশুর বৈশিষ্ট্য

“চার ধরনের পশু কোরবানী করা জায়েয নয়: এক চোখ অন্ধ, মারাত্মক অসুস্থ, খোঁড়া যা হাটতে পারে না, এবং এমন দুর্বল যার মধ্যে মাংস নেই।”
(তিরমিজি: ১৪৯৭)


১০. তাকওয়াই আসল

“আল্লাহর কাছে পশুর মাংস ও রক্ত পৌঁছায় না, বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া।”
(সূরা হজ: ৩৭)


🔚 উপসংহার:

এই হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে কোরবানী শুধু একটি বাহ্যিক আমল নয়, বরং এটি ইখলাস, তাকওয়া ও ত্যাগের চূড়ান্ত রূপ।

আমরা সবাই নিয়ত ঠিক করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সঠিকভাবে কোরবানি করি।


📌 আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি আপনার উপকারে এলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আপনি চাইলে এই ব্লগটি অন্যদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন।

Comments

Popular Posts