Search This Blog
ফাহিম ইসলামিক ব্লগ: এখানে ইসলামিক জ্ঞান, ওয়াজ, গজল, কোরআন হাদীস ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বীনি জ্ঞান শেয়ার করা হয়।
Featured
- Get link
- X
- Other Apps
কোরবানির গোশত ভাগ করার নিয়ম।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে কোরবানির গোশত ভাগ করার একটি নির্দিষ্ট ও সুন্নাতপন্থী পদ্ধতি রয়েছে। ইসলামিক শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করা মুস্তাহাব (সুন্নাত ও উত্তম) পদ্ধতি:
🟩 ১. নিজের জন্য – এক-তৃতীয়াংশ (১/৩)
এ অংশ নিজে ও নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য রাখা যায়।
🟩 ২. আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে দেওয়া – এক-তৃতীয়াংশ (১/৩)
এ অংশ আত্মীয়, বন্ধু ও পাড়া-প্রতিবেশীদের উপহার হিসেবে দেওয়া সুন্নাত।
🟩 ৩. গরিব ও মিসকিনদের দেওয়া – এক-তৃতীয়াংশ (১/৩)
এ অংশ দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের মধ্যে বিতরণ করতে হয়।
📚 দলিলসমূহ
🔹 কোরআন:
> فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ
"তোমরা কোরবানির পশুর গোশত থেকে খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্রকে খাওয়াও।"
— (সুরা হজ্জ: ২৮)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, নিজের খাওয়াও বৈধ এবং গরিবদের খাওয়ানোও জরুরি।
---
🔹 হাদিস:
✅ হজরত সালমান ফারসি (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
> "রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কোরবানির গোশতের এক-তৃতীয়াংশ তুমি নিজে খাও, এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়স্বজনকে দাও এবং এক-তৃতীয়াংশ গরিবদের দান কর।"
— (মুস্তাদরাক হাকিম, হাদিস:
❗ কিছু অতিরিক্ত বিধান:
সম্পূর্ণ গোশত নিজে খাওয়াও জায়েজ, তবে এটি মাকরুহে তানযিহি (উচিত নয়)। উত্তম হচ্ছে তিন ভাগ করা।
সম্পূর্ণ গরিবদের দিয়ে দিলেও জায়েজ আছে, কিন্তু সুন্নাহ হলো – উপরের তিন ভাগে ভাগ করা।
কোরবানির গোশত বিক্রি করা হারাম। জবাইকারী বা কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে গোশত দেওয়া জায়েজ নয়। তাকে আলাদাভাবে টাকা-পয়সা দিয়ে পরিশ্রমের পারিশ্রমিক দিতে হবে।
Popular Posts
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment