Search This Blog
ফাহিম ইসলামিক ব্লগ: এখানে ইসলামিক জ্ঞান, ওয়াজ, গজল, কোরআন হাদীস ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বীনি জ্ঞান শেয়ার করা হয়।
Featured
- Get link
- X
- Other Apps
😎😎 অন্ধ হয়েও দেশের রাজা 😎😎
এক শহরে এক অন্ধলোক বাস কতর। সেই অন্ধ লোকটির পরিবার ছিল খুবই
দরিদ্র শ্রেণির। অন্ধ হওয়ার ফলে তাদের পরিবারের সবাই তাকে কানা বলে ডাকত। কিন্ত সে অন্ধ হলেও অত্যন্ত ধার্মিক ছিল। একদিন সকাল বেলা অন্ধ লোকটি লাঠি দ্বারা রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় কয়েক জন লোক যাচ্ছিল। অন্ধ লোকটিকে দেখে তারা সবাই বলতে শুরু করলো যে আজ সকালে আমরা কানা লোকের মুখ দেখলাম। তাই আমারদের কাজ সফল হবে না। এই বলে সবাই তাদের কর্মে না গেয়ে বাড়িতে চলে গেলো। অন্ধ লোকটি তার মনে অনেক কষ্ট পেল এবং সে মানুষিক ভাবে অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে বাড়ি চলে গেল। বাড়ি গিয়ে সে যখন নস্তা খাচ্ছিল তখন পানি খাওয়ার সময় হঠৎ করে গ্লাসটি তার কাচের থালার উপর পড়ে গেল। গ্লাসটি পড়ে যাওয়ায় গ্লাস এবং থালা দুটোই ভেঙ্গে গেল। গ্লাস এবং থালা ভেঙ্গে যাওয়ার পর পরিবারের সাবাই তাকে কানা বলে গালি দিলো। অন্ধ লোকটি এবার তার মনে এমন কষ্ট পেল যে তার বাচঁতে আর ইচ্ছে হচ্ছে না। আবার আত্মাহত্যা করলে যে জাহান্নামি হবে এই ভেবে সে আত্মহত্যও করতে পারছে না। তাই এবার অন্ধ লোকটি মনে মনে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল যে সে বাড়ি এবং নিজের শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাবে। যে খানে তাকে আর অপমানের শিকার হতে হবে না। তাতে যদি তার মৃত্যু হয়ে যায় তবে সে হাসি মুখে বরণ করে নিবে। তাই সে অন্ধ লোকটি বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় সামান্য কিছু খাবার, একখানা ছাতা,চলার জন্য একটি লাঠি হাতে নিয়ে শহর থেকে চিরদিনের বিদায় নিয়ে সাবার অজন্তে যাত্রা শুরু করল।অন্ধ লোকটি এবার সৃষ্টি কর্তার উদ্দেশ্যে রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকল। অন্ধ লোকটি হাটতে হাটতে এক সময় পথ হারিয়ে সে এক গভীর জঙ্গলে ঢুকে গেল। গভীর জঙ্গরে ঢুকার পর যে দিকে যায় গাছের সাথে তার শরীরে আগাত লাগে। এবার অন্ধ লোকটি বুঝতে পারে যে সে এক গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করে ফেলেছে।অন্ধ লোকটি ভাবলোেএখন এখানে আমাকে আর কেউ রক্ষা করতে পারবে না। সে অত্যান্ত চিন্তায় পড়ে গেল।এবং মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে পার্থনা করতে লাগল। এবার সৃষ্টিকার্তর উপর তার জিবন কে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও জঙ্গলের আরো গভীরে চলে গেল। অন্ধ লোকটি দীর্ঘক্ষণ হাটার পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি গাছের নিচে বসলো । কিন্ত যার উপরে সে বসল সেটি ছিলো অত্যন্ত বড় এক কচ্ছপ।অন্ধ লোকটি মনে মনে ভাবলো এটা হয়তো কাঠের গুলি।অন্ধ লোকটি এখানে বসে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে লাগল এবং তার অতীতের স্মৃতি স্মরণ করে কাঁদতে লাগলো।অন্ধলোটির চোখের পানিতে যখন কচ্ছপটির শরীর বীজে যাচ্ছিল তখন কচ্ছপটি চলতে শুরু করল। এবার অন্ধ লোকটি আশ্চর্য হয়ে গেল।এবং মনে মনে ভাবল মহান সৃষ্টিকর্তা বুঝি আমার মুনাজাত কবুল করেছেন। তাই আমি যার উপর বসেছি সৃষ্টিকর্তার হুকুমে হয়তো সে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। এবার অন্ধ লোকটি সৃষ্টিকর্তা প্রশংসা করে আরো কাদঁতে লাগল। এবার কচ্ছপটিকে অন্ধ লোকটি সৃষ্টিকর্তার দেওয়া যানবাহন মনে করল। অন্ধ লোকটি ভাবলো যে, আমি যে চলতে পারি না তাই আমাকে চলার জন্য মহান আল্লাহ আমার দিকে দয়া করে এই যানবাহন পাঠিয়েছেন।এবার অন্ধ লোকটি অত্যন্ত আন্দদিত হয়েছে। যখন সে লাঠি দিয়ে কচ্ছপটির উপরে আঘাত করে কচ্ছপটি তখন আরোও দ্রুত গতিতে চলে। এবার অন্ধ লোকটি তার ছাতা খানা মাথার উপর দিয়ে লাঠি খানা হাতে রেখেছে এবং কচ্ছটি আর বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। এবার অন্ধ লোকটি সৃষ্টিকর্তা প্রশংসা করে আরো কাঁদতে লাগলো। এবার কচ্ছপটি অত্যন্ত চিনায় পড়ে গেল। কারণ তার উপর অন্ধ লোকটি বাসাতে কচ্ছপটির কষ্ট হচ্ছিল। তাই কচ্ছপটি চিন্তা করলো যে , যদি এমন যায়গায় যাওয়া যায় যেখানে বাঘ ,ভাল্লুক, সিংহ, হাতি এবং অন্য অন্য হিংস্র প্রাণির বাস করে। সেখানে যদি যায় তবে আমার উপর যে জিনিসটি উঠেছে তাকে ওই প্রণির খেয়ে ফেলবে।এই কথা ভেবে কচ্ছপটি আরো গভীল জঙ্গলে যেতে শুরু করল। এই দিকে দূর থেকে অন্য অন্য প্রাণিরা তার দিকে তাকিয়ে দেখতে ছিল কিন্ত সামনে না এগিয়ে বনের বাঘের সর্দার, হাতির সর্দার, সিংহের সর্দার সবাইকে অন্যান্য প্রাণিরা খবর দিল যে জঙ্গলে নতুন এক প্রাণি প্রবেশ করেছে। এবং আমাদের আস্তানার দিকে আসছে এই মূহুর্তে কি করা যায় । তার পর বনের সব প্রণি একসথে বসে তাকিয়ে দেখছিল। কিন্তু তাদেরকে দেখে কচ্ছপটি লোকটিকে নিয়ে তাদের দিকে আসতে লাগল।বাঘ,ভাল্লুক, সিংহ,হাতি এবং অন্যান্য প্রাণিরা বলল যে আমাদের দিকে যে প্রাণিটি আসতেছে সে হয়তো আমাদের চেয়ে ভয়ংকর শক্তিশলী। কারণ আমাদের দেখে সবাই ভায় পাই। কিন্ত মনে হয়ে এই প্রাণিটি আমাদের আক্রমণ করার জন্য এই দিকে আসছে। অন্ধলোকটির মাথায় ছাতা থাকায় অন্যান্য প্রাণিরা তার চেহারা দেখতে পেল না। কয়েক প্রাণি প্রস্তাব জানালো যে এই দিকে যে এই প্রাণিটি আসছে সে প্রাণির পেট দেখো উপরে এবং মুখ নিচের দিকে। বনের সকল প্রাণিরা মনে করলো যে এই প্রাণি জঙ্গলে নতুন এসেছে। এবং এই প্রাণি মনে হয়। খুব ক্ষুদার্থ আমদের এই দিকে আসছে আমাদের খাওয়ার জন্য। তাই সব জন্তু সরকার সবাইকে গুহায় পালিয়ে যেতে বলেলন। সাথে সাথে বনের ছোট বড় সকল জীব জন্তু গুহায় লুকিয়ে গেল। এবার কচ্ছপটির যত জীব জন্তুর দিকে এগিয়ে যায় বনের ভয়ংকর জন্তু গুলো দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই দৃশ্য দেখে কচ্ছপটি ভয় পেয়ে গেল। কচ্ছপটি ভাবলো যে প্রাণিপিটি আমার উপর আরোহণ করেছে সে হয়তো বনের সব প্রাণির চেয়ে ভয়ংকর।তাই এ প্রাণির ভায়ে সব প্রাণি পালিয়েছে। তাই কচ্ছপটি এবার অন্ধ লোকটির ভক্ত হয়ে গেল। কচ্ছপটি নিজেকে গর্বিত মনে করল কারণ তার উপর যে আরোহণ করেছে সে সব প্রাণির রাজা তাকে সবাই ভয় পায়। এবার কচ্ছপটি যেতে যেতে জঙ্গল ছেড়ে অন্য এক দেশে চলে গেল। কচ্ছপটি অন্ধ লোকটিকে বহন করে যখন এক শহরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, ওই দেশের মানুষ কচ্ছপ কি জিনিস চিনতো না। তাই হতভাগ হয়ে গেল। যে এই অচেনা অজানা লোকা কি ভাবে এই শহরে প্রবেশ করল। কারণ এই দেশের চারদিকে রয়েছে ভয়ংকর জঙ্গল এবং জঙ্গলে রয়েছে ভয়ংকর অনেক প্রাণি। যেখানে কোনো মানুষ প্রবেশ করে ফিরে আসতে পারে না। এই লোক কি ভাবে এই শহরে প্রবেশ করল। এটাই সবার কাছে আশ্চর্য জনক।এখন হাজার হাজার মানুষ তাকে দেখতে ভিঁড় জমালো। এই দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে গেল।এই খবর সে দেশের রাজার কাছে চলে গেল। রাজা শুনে হতভাগ হয়ে গেল। যে কিভাকে এই মানুষ আমার দেশে প্রবেশ করলো। রাজা সংবাদ দাতাকে জিজ্ঞাসা করলেন। লোকটি কি ধরনের যানবাহন দ্বারা এই দেশে প্রবেশ করেছে। কারণ এই দেশে প্রবেশ করার মতো কোনো রাস্তা নেয়। সংবাদ দাতা রাজাকে বলল, রাজা সাহেব এই লোকটি এমন একটি যানবাহন দ্বারা এই দেশে প্রবেশ করেছে যা আপনি ও কোনো দিন চোখে দেখেননি। কারণ যে যানবাহন দ্বারা লোকটি এসেছে ওই যানবাহনের কোনো শব্দ হয় না। শুধু হাত দ্বারা ইশারা দিলে চলে । রাজা মনে মনে ভাবলো এই লোক অব্যশই বাহাদুর। এই দেশের সব দল ও তার সাথে পারবে না। কারণ সে বনের বড় বড় সব ভয়ংকর প্রাণির সাথে যুদ্ধে জয়ী হয়ে এই দেশে প্রবেশ করেছে। তাই রাজা উজির এবং আইনিশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে অন্ধ লোকটির কাছে আগমন করল।রাজা অন্ধ লোকের যানবাহন দেখে হতভাগ হয়ে গেল। এবং রাজা ওই অন্ধ লোকটিকে বলল যে যদি কিছু মনে না করেন, তবে আমার মহলে আপনি চলেন। অন্ধ লোকটি রাজি হলো। তারপর অন্ধ লোকটি কচ্ছপটিকে বলল চল এই কথা বলতে কচ্ছপটি দ্রুত গতিতে চলতে শুরু করল। রাজা হত ভাগ হয়ে গেল। রাজা মনে মনে চিন্তা করলো যে আমি রাজা হয়েও এরকম একটি যন্ত্র ক্রয় করতে পারলাম না। কারণ আমার যানবাহনের ড্রাইবার লাগে। সাথে প্রহরী লাগে। কিন্ত এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তির এই যন্ত্রটি চলানোর জন্য কোনো ড্রাইবার এর প্রয়োজন হয় না। মুখে বললেই চলে। রাজা এবার তার মহলে অন্ধ লোকটিকে নিয়ে আসলো। রাজা তার সেবা যত্ন করার জন্য দুইজন লোক নিয়োগ করে দিলেন। এবং যানবাহন দেখা শোনার জন্য আরো দুজন লোক নিয়োগ করলেন। যেন তারা এ রাজ্যের কারো প্রতি অসন্তষ্ট না হয়। অন্ধ লোকটি মনে মনে চিন্তা করল। এসব কিছুই আমার সৃষ্টিকর্তার দান। আমার চলার জন্যই মনে হয় মহান সৃষ্টিকর্তা এই যানবাহন আমার কাছে পাঠিয়েছেন। রাজা একদিন অন্ধ লোকটির যন্ত্রটি দেখার জন্য চুপি চুপি কচ্ছপটির কাছে গেল। তার গায়ে হাত দিল দেখল শরীরটা বেশ শক্ত। রাজা মনে মনে ভাবলো যে ,এই যন্ত্রটির তেল ডিজেল ভরার স্থান কোনো এটি ভালো করে দেখতে লাগলো। সামনে যেতেই হঠাৎ করে কচ্ছপটি তার গলা বাড়য়ে দিল ,রাজা চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে গেল। ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল। রাজা সুস্থ হওয়ার পর রানি তাকে জিজ্ঞার করলো যে সে কি কারণে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়েছে। রাজা রানি কে বণণ জানোনা ওই লোকটির যানবাহনটি ভয়ংঙ্কর। আমি যানবাহনটি দেখার জন্য চুপিচুপি গিয়েছিলাম। কিন্ত জান না রানি ওই যন্ত্রটিরে ভিতর বন্দুক লুকানো আছে। এই যন্ত্রিটি যখন কোনো বিপদের সন্ধান পায় তখন সে নিজেই এটি ব্যবহার করে। আমি যখন যন্ত্রটির কাছে গিয়েছিলাম তখন হঠাৎ করে বন্দুকের নল আমার দিকে ধরেছে, আমি তখন ভয়ে পড়ে যায় এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমার আর কিছু মনে নেই। আমার মনে হয় অন্ধ লোকটি যার ওপর আরোহন করেছে সেটি ভর্তি বিদেশি বন্দুক এবং গোলাবারুদ তাই বনের প্রাণির সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে দেশে এসেছে। রাজা এবার রানির সাথে পরামর্শ করলো যে যাদেরকে আমরা অন্ধ লোকটি এবং যন্ত্রটির সেবা-যত্ন করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে তারা যদি আদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন না করে তবে রাজ্যের অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। রাজা রানিরবে বলল এখন থেকে তুমি যন্ত্রটির সেবা করবে এবং আমি অন্ধ লোকটি সেবা করব যাতে তাদের কোনো অযত্ন না হয়। এভাবেই তারা অন্ধ লোকটি এবং কচ্ছপটিকে যত্ন সেবা করে যাচ্ছে। একদিন ক্ষুধার কারণে অন্ধ লোকটির সাথে কচ্ছপটি খানা খাচ্ছে। রানি এই দৃশ্য দেখে আরো আশ্চর্য হয়ে গেল। রানি রাজাকে বলল যে আমি আপনার যন্ত্রের উঠানে বহু যন্ত্র দেখেছি কিন্ত মানুষের সাথে কাবার খায় কিন্ত এমন যন্ত্র আমি কোনো দিন দেখিনি। রাজা রানিকে বলল এখন থেকে ওই যন্ত্রটি কেউ কাবার দিও। কারণ খাবার না পেয়ে যদি রাগে গোলাগুলি শুরু করে তখন হয়ত আমাদের রাজ্য ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তখন থেকে কচ্ছপকে খাবার দিতে শুরু করল। একরাত্রে রানি রাজার সাথে পরামর্শ করলো যে আমরা যদি আমাদের একমাত্র মেয়েকে এই লোকটি সোথে বিয়ে দিয়ে দেয় তবে আমাদের রাজ্যের শক্তি বেড়ে যাবে। আমাদের কাছ থেকে আর কোনো শক্তি রাজ্য ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তখন এই লোকটিরও আর যাবার কোনো সুযোগ থাকবে না। রাজা রানির কথাই রাজি হল কিন্ত অন্ধ লোকটির কাছে এই প্রস্তাব দিতে সাহস পাচ্ছিলনা। তারপর রাজা এবং রানি এক সাথে অন্ধ লোকটির কাছে গেল এবং বলল বাবা তোমাকে একটি প্রস্তাব দেত চাই যদি তুমি অনুমতি দাও তবে দিব। যেহেতুআমি আপনাদের বাড়ীতে আছি সেহেতু আপনারা যেকোনো প্রস্তাব দিতে পারেন। এবার রাজা তার দুহাত ধরল এবং রানি তার মাথায় হাত রেখে বলল আমাদের একটি মাত্র মেয়ে সন্তান। আমরা তোমার সাথে আমাদের মেয়ের বিয়ে দিতে চায়। অন্ধ লোকটি প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজা রানির অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে পারেন নি। এবার অন্ধ লোকটি রাজি হওয়ায় রাজা এবং রানি অনেক খুশি হলো। রাজা তার রাজ্যের সবাইকে বিয়ের দাওয়াত দেয়। রাজা এক মাস আগে থেকেই দেশের নানা স্থান থেকে বড় বড় হরিণ, খাসি, গরু ওমুরগি এগুলো জবাই করার জন্য এক বড় মাঠের মধ্যে রাখল। বিভিন্ন স্থানের মেহমান তাদের আসন গ্রহণ করলেন। এবার বনের বাঘ,ভাল্লুক, সিংহ ,হাতি ও অন্যান্য অনেক হিংস্র প্রাণিরা তাদের সভা ডাকল যে, রাজার বাড়ির মেয়ের বিয়ের জন্য মাঠে অনেক জীব-জন্ত জমা করেছে। আমরাও অনেকদিন যাবৎ ক্ষুধার্ত। বনের মধ্যে সেই ভয়ংকর প্রাণিটাও এখন আর নেই। এবার সবাই একসাথে হামলা করে সবগুলো প্রাণি এবং মানুষ যা পাবো সব খাব। তারপর লক্ষ লক্ষ হিংস্র ভয়ংকর ক্ষুধার্ত জীবজন্ত রাজার বাড়ির দিকে যেতে লাগল। এবার বনের এই হিংস্র জীবজন্ত দেখে রাজার সকল মেহমান এবং রাজার রানিসহ দৌড়ে পালাতে লাগল। এবার অন্ধ লোকটি আবার তার কচ্ছপটির উপর আরোহণ করল এবং তার ছাতা মাথার উপর রাখল। এবার কচ্ছপটিকে হাতের লাঠি দ্বারা আঘাত করার সাথে সাথেই বনের হিংস্র প্রাণিদের সামনে যেতে শুরু করল। তাকে দেখে জঙ্গলের হিংস্য প্রাণিরা ভয় পেয়ে গেল এবং ভয়ে কয়েকটি বাঘ, হাতি, সিংহ, ভাল্লুক এখানেই মারা গেল এবং অনেক প্রাণি দৌড়ে পালাতে যেয়ে গাছের মধ্যে আঘাত লেগে কোনো প্রাণির মাথা,নাক, পা ভেঙে গেল এবং বাকি প্রাণিগুলো ভয়ে এই বন ছেড়ে অন্য বনে চলে গেল। বনের ভয়ংকর হিংস্র প্রণিরা মরে পড়ে রইল এবং অনেক প্রাণি চলে গেল তখন আবার সমস্ত মানুষ এসে দেখল কয়েকটি বাঘ, ভাল্লুক,হাতি ,সিংহ মেরে ফেলেছে। কতগুলোর নাক,কান ,মাথা ফাটিয়ে ফেলেছে। সবাই বলল যদি এই বীরের মত আরও কয়েকজন বীর আমাদের দেশে থাকত তবে সবগুলো হিংস্র প্রাণিই তারা মেরে ফেলতে পারবে।এবার রাজা সবার উদ্দেশ্য করে বলল আজ যদি আমাদের এই বীর বাহাদুর না থাকত তবে আমাদের সবাইকে হিংস্র প্রাণিরা খেয়ে ফেলত। তাই রাজা তার দেশের সব মানুষের কাছে প্রস্তাব রাখল, এই দেশের সমস্ত মানুষকে যে বাঁচিয়েছে তার হাতে এদেশের রাজ্যের ক্ষমতা দিতে চায়। তারপর রাজার এ প্রস্তাবে দেশের সকল মানুষ রাজি হল এবং অন্ধ লোকটকে সবাই ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নিল।
Popular Posts
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment