Skip to main content

Featured

কলমের জোরই বেশি

বাদশাহ শাহজাহান ছিলেন দিল্লীর সম্রাট। সম্রাটের  একটি দপ্তর ছিল, সেখানে সৈনিকদের মাসিক ভাতা দেওয়া হতো। যিনি ভাতা দিতেন, তাকে বলা হতো মুন্সীজী একদিন দপ্তেরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় ঝাড়ের বেগে হাজির হলো একজন সৈনিক। যে কোনো কারণে ভাতা নিতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। সৈনিকটি ভেতরে ঢুকেই বজ্রকন্ঠে বললো- আমার মাইনেটা দিয়ে দাওতো।   মুন্সীজী শান্ত গলায় বললেন -আমার হাতের কাজটা সেরেই তোমার মাইনেটা দিচ্ছি। সৈনিক রেগে গিয়ে বলল জলদি কারো। আমার আবার তাড়া আছে, বসার একদম সময় নেই। মুন্সীজী তখন হিসাব মেলাচ্ছিলেন, অন্য কাজে মন দেবার একদম সুযোগ নেই। তাই বললেন, বাপু! তোমাকে বসতেই হবে। হাতের কাজ শেষ না করে তোমাকে ভাতা দিতে পারাছি না। সৈনিক এবার কড়া মেজাজে বললো-কি আমার মাইনে দিয়ে দাও ,তা না হলে তোমার সামনের দাঁত দুটি তুলে ফেলবো।  মুন্সীজী কলম উঠিয়ে ব...

যাকে বলে বোকা



জনৈক বোকা লোক গাছের আগার দিকে বসে গোড়ার দিকে কোপাতে লাগলো। লোকটির বিপদজ্জনক জাক  দেখে এক মুরব্বী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার করে বলতে লাগলেন-এই! তুই মরেছিস!তুই মরেছিস! 

এই চিৎকার শুনে  লোকটি গাছ থেকে নেমে এলো। মুরব্বির কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, হুজুর!আমি  কে সত্যি মরে গেছি?মুরব্বী ভাবলেন  এই লোকটিকে তো বুঝানো সম্ভব না।সুতরাং তিনি লোকটির কথার কোনো জবাব না দিয়েই চলে গেলেন।

লোকটি ভাবলো, মরা মানুষের সঙ্গে কতা বলা যায় না,  সম্ভবত এই জন্য মুরব্বী আমার কতার জবাব না দিয়েই সরে পড়েছেন। সুতরাং নিঃসন্দেহে আমি মরে গেছি।

কিন্ত তার কথার কেউ সাড়া  দিল না।অগত্যা সে নিজেই একটি কোদাল সংগ্রহ করলো এবং নদীর ধারে গিয়ে করব খুঁড়তে লাগলো। কবর খোঁড়া শেষ হলে কোদাল টি রেখে কবরের ভিতরে মরার মতো পড়ে থাকলো। ঐ নদী দিয়ে লঞ্চ যাতায়াত করতো। একটি লঞ্চ এস  এক সাহেবকে নদীর ঘাটে নামিয়ে দিলো। সহেব সকারি  চাকরি নিয়ে ওই গ্রামে এসেছিলেন। কী একটা  কাজরে তদারকি করতে।তিনি  ডাক বাংলায় যাবেন। সঙ্গে রয়েছে বিছানাপত্র ও িএকটি বাক্স। কিন্ত কে বয়ে নিয়ে যাবে।  এগুলো? আশেপাশে   কোনো লোকজনও দেখা যায় না। অবশেষে দূরে চোখে পড়লো  একটি কোদাল। সদ্য মাটি কাটা হয়েছে, কোদালটি এখনও  সরানো হয়নি। ভাবলেন-মাটি কাটা লোকটি আশেপাশে নিশ্চয় কোথাও আছে।

কোদার লক্ষ্য করে সাহেব অগ্রসর হলেন। দেখেন-সেখানে একটি গর্তের মধ্যে  একটি লোক শুয়ে আছে। সাহেব তাকে ডাকলেন, এদিকে এসো!লোকটি  ভাবলো,আমি  যে  মরে  গেছি হয়তোএই ভদ্রলোক জানেন না। তাই  আমার সাথে কথা  বলতে এসেছেন।সুতরাং লোকটি কোনো সাড়া দিল  না। পিঠ টান করে চুপ  করে শুয়ে  থাকতে  লাগলো।

ভদ্রলোক  কয়েবার ডাকলেন।  কিন্ত কোনো সাড়া না পেয়ে বিরক্ত  হয়ে  কাছে গিয়ে তার কোমরে একটা  জোরে লাথি মারলো যে ,লোকটি তড়িৎ করে উঠে বসে পড়লো । লোকটি  মনে  মনে  ভাবলো,কবরের মনকার-নাকির হবে।এর কথা অমান্য করা  যাবে না। যা বলবে তাই শুনতে হবে। সাহেব যখন বলেলন আমার সঙ্গে এসো। লোকটি তার সঙ্গে সঙ্গে নদীর ঘাটে গিয়ে  দাঁড়ালো। সাহেব ওর মাথায়  বাক্স ও  বিছানা পত্র এর পোটলাটি চাপালেন। এবং  একটি  মিষ্টির হাঁড়ি  ছিল সেটাও হাতে দিয়ে বললেন চলো্ 

এই  বলে সাহবে ওকে নিয়ে ডাক বাংলোয়  পৌঁছালেন। ওর মাথা থেকে জিনিসপত্র নামিয়ে নিয়ে ওকে আট আনা  পয়সা দিলেন। আর মিষ্টির হাঁড়ি থেকে ‍দুইটি রসগেল্লা হাতে দিয়ে বললেন,যাও।

লোকটি দৌড়ে এসে পাড়াই প্রচার করতে লাগলো, কবরে কি ঘটে আমি দেখে এসেছি। যা ঘটে তা হলো, একজন মনকির-নাকির বুট জুতা পায়ে এসে এমন জোরে কোমরে এক  লাথি মারে যে,  মৃত ব্যক্তি শোয়া থেকে উঠে বসে পড়ে। তার পর সাথে কিছুদূর গিয়ে সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে যায় মাথায় একটা বোঝা দিয়ে। তারপর বোঝার নামানোর পর বিদায় করে দেওয়া  হয়। আর দেওয়া হয়  দুইটি রসগোল্লা।

শিক্ষা:- আজকাল অনেক বুদ্ধিজীবী  আছেন যারা এই বোকার  মতো ঘটনা পর্যবেক্ষণের দাবি করে। এবং  আলেমগণের উক্তিকে হালকা ভাবে নিয়ে বিচার করে থাকেন। এরপরও কি  তাদের বুদ্ধিজীবী বলা যায়?

আরো পড়ুন--

Comments

Popular Posts